■■ শিক্ষা, প্রেরণা ও উপদেশ মূলক কথাঃ
***********************************************
■■ বাজ পাখী প্রায় ৭০ বছর জীবিত থাকে। কিন্তু ৪০ বছর পূর্ণ হতেই ওকে একটা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে হয়। ওই সময় তার শরীরের তিনটি প্রধান অঙ্গ দুর্বল
হয়ে পড়ে! যথাঃ
●▪০১. থাবাঃ পায়ের নখ লম্বা ও নরম হয়ে যায়! যার কারণে শিকার করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে!
●▪০২. ঠোঁট-টা সামনের দিকে মুড়ে যায়! ফলে খাবার খুটে বা ছিঁড়ে খাওয়া প্রায় বন্ধ হয়ে যায়!
●▪০৩. ডানা ভারী হয়ে যায় এবং বুকের কাছে আটকে যাওয়ার দরুণ ওড়ার ক্ষমতা সীমিত হয়ে যায়!!
■■ ফলস্বরুপ ঐসময়ে তার শিকার খোঁজা, ধরা ও খাওয়া তিনটেই ধীরে ধীরে মুশকিল হয়ে পড়ে!!!
■■ ওর কাছে ঐমূহুর্তে তিনটে পথ খোলা থাকে। যথাঃ
●▪০১. আত্নহত্যা করা।
●▪০২. শকুনের মত মৃতদেহ খাওয়া এবং
●▪০৩. নিজকে পুনরস্থাপিত করা।।
■■ ও তখন একটা উচু পাহাড়ে আশ্রয় নেয় এবং
সেখানেই বাসা বাঁধে! আর শুরু করে নতূন প্রচেষ্টা!
■■ সে প্রথমে তার ঠোঁট-টা পাথরের উপর মেরে মেরে ভেঙে ফেলে! আর এর থেকে বেশি যন্ত্রণা আর হয় না! একইরকম ভাবে তার পায়ের নখ গুলোও ভেঙে ফেলে! আর অপেক্ষা করে নতূন নখ ও ঠোঁট গজানোর।।।
■■ নখ ও ঠোঁট গজালে সে ওর ডানার সমস্ত পালক গুলো ছিঁড়ে ফেলে! আর প্রচন্ড কষ্ট সহ্য করে অপেক্ষা করতে থাকে নতূন পালকের জন্য!!
■■ এর জন্য তাকে ১৫০ দিনের যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়! কষ্টকর প্রতীক্ষার পর সে সব নতূন করে পায়।। সে ফিরে পায় আবার সেই লম্বা উড়ার ক্ষমতা ও ক্ষিপ্রতা! এরপর সে আরো ৩০ বছর জীবিত থাকে সেই আগের মত শক্তি ও গরিমা নিয়ে!!
■●■ আমাদের জন্য শিক্ষাঃ
ইচ্ছা, সক্রিয়তা ও কল্পনা... আমাদের দুর্বল হয়ে পড়ে ৪০ আসতেই! অর্ধজীবনেই আমাদের উৎসাহ, বল, আকাঙ্খা এবং শক্তি কমে যায়!
■▪তাই আমাদেরও আলস্য উৎপন্নকারী মানসিকতা ত্যাগ করে অতীতের ভারাক্রান্ত মনকে সরিয়ে এবং
জীবনের বিবশতাকে কাটিয়ে ফেলতে হবে বাজের ঠোঁট, ডানা আর থাবার মত!!!
■●■ প্রেরণাঃ
বাজ পাখির মতো ১৫০ দিন না হলেও মাত্র এক মাসও যদি আমরা চেষ্টা করি, তাহলে আবার আমরা ফিরে পাবো নতূন উদ্যম, অভিজ্ঞতা ও অন্তহীন শক্তি!!!
■●■ উপদেশঃ
নিজেকে কখনোই হারাতে দেবেন না! আর হারও মানবেন না!!!!
*** আল্লাহ তা‘আলা আমাদের সবাইকে সঠিক এবং পরিপূর্ণ ভাবে জানার, বোঝার ও মেনে চলার তাওফীক দান করুন এবং আমাদের সবাইকে ক্ষমা, কবুল ও হিফাযত করুন(আ-মীন)।।